,

কাশিয়ানীতে শিলাবৃষ্টিতে বোরো ফসলের ক্ষতির আশংকা

কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি হয়েছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হঠাৎ কাশিয়ানীর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এরপর দফায় দফায় শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। সেই সাথে ঝড়ো হাওয়ার কারণে চরম বিপাকে পড়েন ওড়াকান্দি ঠাকুরবাড়ীতে আসা মতুয়া পূর্ণার্থীরা।

শিলাবৃষ্টিতে আম ও লিচুর গুটির পাশাপাশি পেঁয়াজ, রসুন, গমসহ অন্যান্য ফসলের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা। তবে আমের গুটি, বাঙ্গি ও তরমুজের ক্ষতি হয়েছে বেশি। শিলায় ধানের শিষ ভেঙে গেছে বলেও জানান তারা।

উপজেলার মাহমুদপুর, রাতইল, বেথুড়ী, রাজপাট, নিজামকান্দি, সিংগা, হাতিয়াড়া, পুইশুর ইউনিয়নে শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতির আশংকা করছে কৃষকরা। বোরো আবাদ নিয়ে এসব এলাকার কৃষকদের মাঝে চরম উদ্বেগ ও শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে কম-বেশি শিলাবৃষ্টি হয়েছে। তবে সিংগা ও নিজামকান্দি ইউনিয়নে বেশি শিলাবৃষ্টি হয়েছে। শিলাবৃষ্টির পরপর সংশ্লিষ্ট ব্লক সুপারভাইজারসহ সংশ্লিষ্টদের বোরো ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না তার খোঁজ নিতে বলা হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেনি। এ বছর উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নে ১৩ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হয়েছে।

উপজেলার নিজামকান্দি গ্রামের কৃষক জিন্নাত আলী মোল্যা (৫০) বলেন, ‘মঙ্গলবার দিনগত রাতে হঠাৎ শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। শিলায় আমার দুই বিঘা জমির বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শিলায় ধানের শিষ ভেঙে গেছে। এবার ধানের ফলন কমে যাবে।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রসময় মন্ডল বলেন, ‘আচমকা শিলাবৃষ্টি ও ধমকা হাওয়ায় ফসলের যে ক্ষতি হয়েছে তা খুব বড় রকমের ক্ষয়ক্ষতি না। তবে সিংগা ও নিজামকান্দি ইউনিয়নে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তাৎক্ষনিক ব্লক সুপারভাইজারদের খোঁজ খবর নিতে বলা হয়েছে। পুনরায় এ ধরণের শিলাবৃষ্টি হলে বোরো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হওয়ার আশংকা রয়েছে।’

এই বিভাগের আরও খবর